প্রতিবেদন : সমস্যা জটিল হচ্ছে বাইজুসে (Byjus)। এবার সংস্থার ১৪ হাজার কর্মীকে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করার নির্দেশ দিয়ে জানানো হল, কেবলমাত্র সদর দফতর ছাড়া বন্ধ থাকবে সমস্ত অফিস। বেঙ্গালুরুর এডু-টেক সংস্থাটি সংস্থাটি যে এমন পদক্ষেপ করতে পারে, সেই সম্ভাবনা ছিলই। দেখা যাচ্ছিল, নতুন করে সংস্থার বিভিন্ন দফতরের চুক্তি পুনর্নবীকরণ করা হচ্ছে না। শেষপর্যন্ত বন্ধই করে দেওয়া হল দফতরগুলি। যদিও দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাইজুসের প্রায় শ’তিনেক টিউশন সেন্টার চালু রয়েছে। সেখানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা ক্লাস করতেও আসছে।
আরও পড়ুন-নাগরিকত্ব আইন মানছেন না কমল হাসান ও বিজয় থালাপতি
প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে থেকেই সমস্যায় পড়ে বেঙ্গালুরুর এডু-টেক সংস্থা বাইজুস। বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সংস্থাকে ৯ হাজার কোটি টাকা জরিমানা করে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বাইজুস। এদিকে বেশ কয়েকটি মার্কিন বিনিয়োগকারীর সঙ্গে আইনি লড়াইয়েও জড়িয়ে পড়েছেন প্রতিষ্ঠাতা বাইজু রবীন্দ্রন। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয় লুক আউট নোটিশ। সিংহভাগ বিনিয়োগকারী তাঁকে বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে ভোট দেন। সেই সিদ্ধান্ত অবশ্য মানেননি বাইজুস কর্তা। এই পরিস্থিতিতে গত মাসে কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে, ফেব্রুয়ারির বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এরপর এখন অধিকাংশ অফিস বন্ধ করার সিদ্ধান্তে ফের বাড়ল অনিশ্চয়তা।

