একদিনেই মূর্তি তৈরি, পুজো ও বিসর্জন

উল্লেখ্য, মা মন্দিরবাসিনীর মাহাত্ম্যগুণে প্রতিবছর দীপান্বিতা পুজোর দিন জৌলুসহীন মা মন্দিরবাসিনীর পুজোয় ভিড় জমান অগণিত ভক্ত

Must read

দুলাল সিংহ, বালুরঘাট: একদিনেই মূর্তি তৈরি-পুজো-বিসর্জন। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর মা কালীর মূর্তিতে চক্ষুদান। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের ভিকাহার এলাকার মা মন্দির বাসিনী মন্দিরের মা কালী। প্রায় তিনশো বছর ধরে এভাবেই পূজিত হন মা কালী। সেই রাতে পুজোর পরেই সূর্যোদয়ের আগেই হয় বিসর্জন। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে প্রায় তিন শতাধিক বছর পূর্বে ভিকাহার এলাকার বেশিরভাগই ছিল জঙ্গলে ভরা। তাদের মতে সেই জঙ্গলে এক তান্ত্রিক তন্ত্রসাধনা করতেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে ওই তান্ত্রিক সিদ্ধিলাভের জন্য এক কন্যাকে মা কালীর বেদিতেই সমাহিত করেন, আবার স্থানীয়দের আর এক অংশের মানুষদের মতে ঐ তান্ত্রিক সিদ্ধিলাভের জন্য নিজেকেই দেবীর বেদিতে সমাহিত করেন। এই বেদিতেই শতাব্দীর পর শতাব্দী সময় ধরে পূজিত হয়ে আসছে মা কালী।

আরও পড়ুন-পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে টাস্ক ফোর্সের হানা

দেবী এখানে মন্দিরবাসিনী নামে খ্যাত। প্রতিবছর কালীপুজোর দিন সূর্য অস্ত যাওয়ার পর দেবী মূর্তিতে চক্ষুদান করে মৃৎশিল্পী দেবীর মূর্তি নিয়ে আসেন মন্দিরবাসিনীর মন্দিরে। এরপর রাতভর পুজো হয়ে যাওয়ার পর সূর্য উদয়ের পূর্বে দেবীর মূর্তি দেওয়া হয় বিসর্জন। অতীতের এই রীতি এই সময়েও বর্তমান। স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ সমাজদার জানিয়েছেন অতীতের রীতি মেনে চলতি বছরেও পুজোর আয়োজন করতে চলেছেন। উল্লেখ্য, মা মন্দিরবাসিনীর মাহাত্ম্যগুণে প্রতিবছর দীপান্বিতা পুজোর দিন জৌলুসহীন মা মন্দিরবাসিনীর পুজোয় ভিড় জমান অগণিত ভক্ত।

Latest article